শরতের শেষে এসে বৃষ্টি একেবারেই কমে গেছে। অধিকাংশ সময়ই আকাশে রোদ ও মেঘের লুকোচুরি চলছে। কোথাও হঠাৎ হালকা একটু বৃষ্টি ঝরিয়ে যাচ্ছে উড়ে যাওয়া মেঘ। তবে বাড়ছে ভ্যাপসা গরম।
আগামী কয়েকদিন আবহাওয়ার এমন পরিস্থিতি অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা।
শনিবার (৮ অক্টোবর) আশ্বিনের ২৩ তারিখ। শুক্রবার সকাল থেকে শনিবার সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় সিলেট ছাড়া প্রায় সারাদেশ ছিল বৃষ্টিহীন। এ সময়ে সিলেটে ১৬ ও শ্রীমঙ্গলে ১ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। এছাড়া তেঁতুলিয়ায় ২ ও চট্টগ্রামে ১ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। এছাড়া দেশের আর কোথাও বৃষ্টি হয়নি।
আবহাওয়াবিদ মো. মনোয়ারে হোসেন জানান, দক্ষিণ অন্ধ্র উপকূল ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত লঘুচাপটি বর্তমানে গুরুত্বহীন হয়ে পড়েছে। মৌসুমি বায়ুর অক্ষ বিহার, পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের উপর কম সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে দুর্বল থেকে মাঝারি অবস্থায় রয়েছে।
শনিবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাস তুলে ধরে তিনি বলেন, ময়মনসিংহ, রংপুর ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়া ও বিজলী চমকানোসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে মাঝারি ধরনের ভারি বর্ষণ হতে পারে।
এ সময়ে সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে জানিয়ে তিনি বলেন, আগামী তিনদিনের মধ্যে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বাড়তে পারে।
শুক্রবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৫ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল যশোর ও ফেনীতে। শনিবার সকালে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে সিলেটে, ২৩ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
Leave a Reply