জৈব সারঃ
গাছপালা, পশুপক্ষীর রেচন পদার্থ ও দেহাংশ দিয়ে যে সার তৈরী হয় তাকে জৈবসার বলে।
যেমন-গোবর সার, কম্পোষ্ট সার, খইল, হাড়গুড়ো, পোন্টলিটার, কাঠেরছাই প্রভৃতি খুবই পরিচিত জৈবসার। ধৈঞ্চা সবুজ সারও একটি উত্কৃষ্ট জৈবসার।
জৈব সারের যা আছেঃ
গাছ বেড়ে ওঠার জন্য ১৬ টি মৌলিক উপাদান দরকার। গাছ – কার্বণ, হাইড্রোজেন ও অক্সিজেন পায় বাতাস ও জল থেকে। বাকী ১৩ টি উপাদান সংগ্রহ করে মাটি থেকে। তারমধ্যে নাইট্রোজেন, ফসফরাস ও পটাশহল মুখ্য উপাদান। ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম ও সালফার হল গৌন খাদ্য উপাদান। আর বোরন, তামা, লোহা, ম্যাঙ্গানিজ, জিঙ্ক, মলিবডেনাম ও ক্লোরিণ এই সাতটি হল অণু খাদ্য। জৈব সারে উদ্ভিদখাদ্যের প্রতিটিই কম বেশী থাকে। জৈবসার প্রয়োগের পর পচে গেলে গাছ মাটি থেকে ঐ সকল খাদ্য উপাদান গ্রহন করে।
জৈবসারের উপকারিতাঃ
১. উদ্ভিদকে পুষ্টি এবং গৌণ উপাদান সরবরাহ করে।
২. পুষ্টি উদ্ভিদের শিকড়ে উপলব্ধ হয় মিশ্রসারের সঙ্গে ধীরে ধীরে। অতএব, পুষ্টির অন্য তরলের মধ্যে মিশে যাবার সম্ভাবনা কমে যায়।
৩. মাটির গঠন, জল ধারণ ক্ষমতা উন্নত করে এবং মাটির ঘনত্ব কমিয়ে দেয়।
৪. মাটি বাফার ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
৫. অ্যাসিড মাটিকে অ্যালুমিনিয়াম ও ফেরিক বিষাক্ততা থেকে মুক্ত করে।
৬. কার্বন ডাই অক্সাইড পচনের সময় নির্গত হয় যা কার্বন ডাই অক্সাইড সার হিসাবে ব্যবহৃত হয়।
৭. এটা হরমোনের মতো বৃদ্ধি সহায়ক পদার্থ হিসাবে ব্যবহৃত হয়।
৮. মাটির জীবাণুর খাদ্য উৎস হিসেবে এবং জীবাণুর কার্যকলাপ বজায় রাখতে সাহায্য করে।
৯. মাটি জৈব, হিউমিক সংক্রান্ত বিষয়বস্তু এবং সামগ্রিক উর্বরতা বৃদ্ধি করে।
১০. উদ্ভিদের শিকড়ের গভীরে অনুপ্রবেশ ঘটায়।
ক্যাটায়ন বিনিময় ক্যাপাসিটি (সিইসি), যা পুষ্টির প্রাপ্যতা বৃদ্ধি করে এবং তরলের মাধ্যমে পুষ্টির বেরিয়ে যাওয়া রোধ করে।
উদ্ভিদের পরজীবী নেমাটোড এবং ছত্রাক মাটিতে ভারসাম্য নিয়ন্ত্রণ করে মাটিতে অণুজীবের ভারসাম্য পরিবর্তন করে।
সামগ্রিক মাটির সমষ্টিগত স্থায়িত্ব, যা মাটিকে সর্বোত্তম পর্যায়ে কাজ করতে সাহায্য করে এবং সর্বোত্তম ফলন পেতে সাহায্য করে।
Leave a Reply