করলা সাধারনত গ্রীষ্মকালীন সবজি । তবে সারা বছরধরেই এর চাষ করা যায় । শীর্ষ স্থানীয় সবজি সমুহের মধ্যে করলা অন্যতম। উচ্ছে ও করলা তিতা বলে অনেকেই খেতে পছন্দ করেন না। তবে এর ঔষধিগুণ অনেক বেশি। ডায়াবেটিস, চর্মরোগ এর জন্য করলা একটি ভাল সবজি । উচ্ছে ও করলা এ দেশের প্রায় সব জেলাতেই চাষ হয়। অপেক্ষাকৃত ছোট, গোলাকার এবং বেশি তিতা গুলোকে বলা হয় উচ্ছে। আর একটু বেশি লম্বা ও কিছুটা কম তিতাযুক্ত সবজিকে বলা হয় করলা।
চাষ পদ্ধতিঃ
প্রায় সব মাটিতেই করলার চাষ করা যায়। তবে জৈব পদার্থসমৃদ্ধ দো-আঁশ ও বেলে দো-আঁশ মাটিতে করলা ভাল হয় । ছাদে করলা চাষের জন্য হাফ ড্রাম ব্যবহার করা যেতে পারে। হাফ ড্রামের তলায় ৩/৪ টি ছিদ্র করতে হবে যাতে সহজেই অতিরিক্ত পানি নিষ্কাশিত হয়। হাফ ড্রামের তলার ছিদ্রগুলো ইটের ছোট ছোট টুকরা দিয়ে বন্ধ করে দিতে হবে। এবার ২ ভাগ দোআঁশ বা বেলে দো-আঁশ মাটি, ১ ভাগ গোবর, ২০-৩০ গ্রাম টি,এস,পি সার, ২০-৩০ গ্রাম পটাশ সার, একত্রে মিশিয়ে ড্রাম ভরে পানিতে ভিজিয়ে রেখে দিতে হবে ১০-১২ দিন। অতঃপর মাটি কিছুটা খুচিয়ে দিয়ে আবার ৪-৫ দিন এভাবেই রেখে দিতে হবে। যখন মাটি ঝুরঝুরে হবে তখন করলার বীজ বপন করতে হবে। করলার বীজ বপনের ২৪ ঘন্টা পূর্বে পানিতে ভিজিয়ে রাখতে হবে। বীজ বোনার পর মাটি হাত দিয়ে সমান করে দিতে হবে এবং চেপে দিতে হবে।
অন্যান্য পরিচর্যাঃ
টবের মাটি কয়েকদিন পর পর হালকা নিড়ানি দিয়ে আলগা করে দিতে হবে। যাতে করলা গাছে আগাছা জন্মাতে না পারে। সেই সাথে মাটি কিছুটা আলগা করে দিলে গাছের শিকড়ের ভাল বৃদ্ধি হয়। করলা ধরা শুরু করলে সরিষার খৈল পচা পানি পাতলা করে গাছে ১৫-২০ দিন অন্তর অন্তর নিয়মিত দিতে হবে।
করলার পোকামাকড় ও রোগবালাইঃ
করলার সবচেয়ে ক্ষতিকর পোকা হল ফল ছিদ্রকারী পোকা। উক্ত পোকার হাত থেকে রক্ষা পেতে হলে মাঝে মাঝে করলা গাছে ভাল কিটনাশক স্প্রে করতে হবে। এছাড়াও ছাদ সবসময় পরিষ্কার রাখতে হবে। তাহলে পোকামাকড়ের হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে।
ছাদ বাগানের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, সঠিকভাবে মাটি প্রস্তুত করা। মাটি প্রস্ততের নিয়ম জানুন, এখান থেকে-
Leave a Reply