ভেন্নাকে ভেরেন্ডা বা রেঢ়ীও বলা হয়। এর তেলকে বলা হয় ক্যাস্টর অয়েল। যা আগাছা হিসেবেই পরিচিত। তবে এটি বহুবর্ষজীবী উদ্ভিদ। ভেন্নার বীজে তেলের পরিমাণ ৪৫-৬০%। যা ট্রাই গ্লাইসিরাইড, যার বেশিরভাগ রাইসোলেনিক অ্যাসিড।
ভেন্না গাছ ১০-১৫ ফুট পর্যন্ত উঁচু হতে পারে। গাছের উপরের দিকে অল্প কিছু ডাল হতে দেখা যায়। কাণ্ডের ভেতর ফাঁপা থাকে। কাণ্ডের বেড় ৫-৬ ইঞ্চি হতে পারে। কাণ্ডে ৫-৬ ইঞ্চি দূরে দূরে একটি করে গিঁট থাকে। প্রতিটি গিঁট থেকে বের হয় একটি করে পাতা। কাণ্ড ধূসর প্রকৃতির।
সাধারণত বর্ষাকালে ভেন্নার চারা গজায়। প্রতি বছর হেমন্ত ও শীতকালে ভেন্নার ফুল-ফল হয়। গাছের মাথায় থোকা থোকা লালচে ফুল হয়। ফলও হয় থোকা থোকা। একেকটা প্রায় এক ইঞ্চির মতো। সবুজ ফলের গায়ে নরম কাঁটা থাকে। যা এতই নরম যে, গায়ে ফোঁটে না।
চাষপদ্ধতি
বাংলাদেশে অনুমোদিত কোনো জাত নেই। তবে লাল এবং সবুজ নামে দুটি স্থানীয় জাত আছে। প্রতিবেশী দেশ ভারতে আছে ৮টি উফশী জাত। বাংলাদেশের জলবায়ু এবং আবহাওয়া ক্যাস্টর চাষের উপযোগী। যে কোনো অনুর্বর মাটিতে ভেন্না চাষ হতে পারে। তবে মাটির পিএইচ ৫.৫-৬.০ হলে ভালো। বেলে দোআঁশ মাটিতে ভেন্না ভালো হয়।
রোপণ
বর্ষার আগে জুন মাসে অথবা বছরের যে কোনো সময় রোপণ করা যায়। সেচ এবং বৃষ্টিনির্ভর পদ্ধতিতে চাষ করা যায়। আগাছা পরিষ্কার করে ৩-৪টি চাষ দিয়ে জমি প্রস্তুত করে নিতে হয়। হেক্টরপ্রতি ১০-১২টি বীজ রোপণ করা যায়। চারা থেকে চারার দূরত্ব ৪০-৬০ সেন্টিমিটার এবং সারি থেকে সারির দূরত্ব ৯০-১২০ সেন্টিমিটার হতে হবে।
সার
ভেন্না চাষের জন্য তেমন সার প্রয়োজন হয় না। তবে ভালো ফলনের জন্য এন: পি: কে: অনুপাতে হবে ৪০ কেজি: ৪০ কেজি: ২০ কেজি হেক্টরপ্রতি। ইউরিয়া সার অর্ধেক শেষ চাষের সময়। বাকি অর্ধেক চারা গজানোর ৩০-৪০ দিন পর দিতে হবে। বেশি ফলনের জন্য হেক্টরপ্রতি ২০ কেজি সালফার ব্যবহার করলে ভালো হয়। এর রোগবালাই তেমন হয় না। তবে পড বোরার দেখা যায় মাঝে মাঝে।
সূত্র :জাগোনিউজ
Leave a Reply