1. admin@ritekrishi.com : ritekrishi :
  2. ritekrishi@gmail.com : ritekrishi01 :
যশোর জোনের আওতায় ৩৪০০ হেক্টর জমিতে তুলার আবাদ
রবিবার, ১০ নভেম্বর ২০২৪, ০১:১৩ পূর্বাহ্ন

যশোর জোনের আওতায় ৩৪০০ হেক্টর জমিতে তুলার আবাদ

  • আপডেটের সময় : শনিবার, ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৩
  • ৩৫০ পড়া হয়েছে

চলতি মওসুমে (২০২৩-২০২৪) যশোর জোনের আওতায় ৩ হাজার ৪০০ হেক্টর জমিতে তুলার আবাদ হয়েছে।

তুলা উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, এর মধ্যে ২৭০ হেক্টর জমিতে হাইব্রিড জাতের এবং ৩ হাজার ১৩০ হেক্টর জমিতে উচ্চ ফলনশীল (উফশী) জাতের তুলার আবাদ হয়েছে। এ মওসুমে ১১ হাজার ২২০ টন বীজ তুলা উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।

২০২২-২০২৩ মওসুমে এ অঞ্চলে তুলার আবাদ হয়েছিল ২ হাজার ৬০০ হেক্টর জমিতে। অন্যান্য ফসলের তুলনায় তুলার চাষ লাভজনক হওয়ায় কৃষকরা এখন তুলা চাষে আগ্রহী হচ্ছেন বলে তুলা উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

তুলা উন্নয়ন বোর্ড যশোর জোন অফিস সূত্রে জানা গেছে, যশোর জোনের আওতায় মোট ১৮টি তুলা উৎপাদন ইউনিট রয়েছে। এরমধ্যে যশোর জেলায় ১৫টি তুলা উৎপাদন ইউনিট, খুলনার চুকনগরে ১টি, গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীতে ১টি ও ঝালকাঠির গাবখানে ১টি তুলা উৎপাদন ইউনিট রয়েছে। যশোর সদর উপজেলার সুজলপুর গ্রামের তুলা চাষি মো. তাইদুর রহমান জানান, চলতি মওসুুমে তিনি চার বিঘা জমিতে এবং চৌগাছা উপজেলার বেড় গোবিন্দপুর গ্রামের ফসিয়ার রহমান জানান, তিনি সাড়ে তিন বিঘা জমিতে তুলা চাষ করেছেন। তুলা উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের মাঠ পর্যায়ের নিয়মিত তদারকিতে এ অঞ্চলের কৃষকদের তুলা চাষে আরো বেশি আগ্রহী করে তুলছে বলে তারা জানান।

যশোর জোনের প্রধান তুলা উন্নয়ন কর্মকর্তা এসএম জাকির বিন আলম বলেন, কৃষকরা যাতে বেশি জমিতে তুলা চাষে আগ্রহী হন সেই লক্ষ্যে আমরা আন্তরিকভাবে কাজ করে যাচ্ছি। তুলার ফলন বৃদ্ধিতে কৃষকদের সর্বোচ্চ সহযোগিতা প্রদান করছি। আগামি ডিসেম্বর-জানুয়ারি মাসে নতুন তুলা বাজারে উঠবে। প্রতিমণ তুলা ৩ হাজার ৬০০ টাকা থেকে ৪ হাজার টাকা দরে বিক্রি হয়ে থাকে। তুলা উৎপাদনে প্রতি বিঘা জমিতে সর্বোচ্চ খরচ হয় ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা। এক বিঘা জমিতে তুলা উৎপাদন হয় ১৬ থেকে ১৮ মণ যা ৬৮ থেকে ৭০হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়ে থাকে বলে তিনি জানান।

তুলা উন্নয়ন বোর্ড যশোর আঞ্চলিক কার্যালয়ের উপ-পরিচালক ড. মো. কামরুল হাসান জানান, এ অঞ্চলে তুলার আবাদ ও উৎপাদন বৃদ্ধিতে আমরা মাঠ পর্যায়ে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি। উচ্চ ফলনশীল তুলার নতুন-নতুন জাতের উদ্ভাবন ও তা থেকে বীজ তৈরি করে কৃষকদের মধ্যে সরবরাহ করা হচ্ছে। চৌগাছা তুলা প্রশিক্ষণ ও বীজবর্ধণ খামারের বৈজ্ঞানিকরা অক্লান্ত পরিশ্রম করে উচ্চ ফলনশীল হাইব্রিড জাতের তুলা বীজ উৎপাদন করার পর তা কৃষক পর্যায়ে সরবরাহ করা হচ্ছে। কৃষকরা দাম ভালো পাওয়ায় প্রতি বছর তুলার আবাদ বাড়ছে এ অঞ্চলে। তুলা কেটে ঘরে তোলা পর্যন্ত আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে চলতি মওসুমেও তুলার বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে বলে তিনি জানান।

সূত্র :বাসস

সোস্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Error Problem Solved and footer edited { Trust Soft BD }
More News Of This Category
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত - রাইট কৃষি-২০২১-২০২৪
Web Design By Best Web BD