গোপালগঞ্জে ৫ হাজার ৯৮১ হেক্টর জমিতে তেল জাতীয় ফসল আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এরমধ্যে ৪ হাজার ৯শ’ ৩৬ হেক্টর জমিতে সরিষা, ৪০৬ হেক্টর জমিতে তিল, ৫১ হেক্টর জমিতে সূর্যমুখী , ৫শ’৮৮ হেক্টর জমিতে চিনা বাদাম আবাদ করা হয়েছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের গোপালগঞ্জ খামারবাড়ির উপ-পরিচালক আঃ কাদের সরদার বাসসকে বলেছেন, এ বছর গোপালগঞ্জ সদর উপজেলায় সরিষা ১ হাজার ৫৭০ হেক্টরে, তিল ১৬৬ হেক্টরে, সূর্যমুখী ১২ হেক্টরে, চিনাবাদাম ৪৬৩ হেক্টরে আবাদ করা হচ্ছে। মুকসুদপুর উপজেলায় ১ হাজার ৫৯৬ হেক্টরে সরিষা, ৯০ হেক্টরে তিল, ৯ হেক্টরে সূর্যমুখী, ৩৫ হেক্টরে চিনা বাদাম আবাদ হবে। কাশিয়ানী উপজেলায় ১ হাজার ১৭০ হেক্টরে সরিষা, ৮৫ হেক্টরে তিল, ১০ হেক্টরে সূর্যমূখী, ৩৫ হেক্টরে চিনা বাদাম আবাদ হচ্ছে। কোটালীপাড়া উপজেলায় ২৫০ হেক্টরে সরিষা, ৩৫ হেক্টরে তিল, ৮ হেক্টরে সূর্যমুখী, ৩০ হেক্টরে চিনা বাদাম আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ হয়েছে। টুঙ্গিপাড়া উপজেলায় ৩৫০ হেক্টরে সরিষা, ৩০ হেক্টরে তিল, ১২ হেক্টরে সূর্যমুখী ও ২৫ হেক্টরে চিনা বাদাম আবাদ করা হবে।
গোপালগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের গোপালগঞ্জ খামারবাড়ির অতিরিক্ত পরিচিালক সঞ্জয় কুমার কুন্ডু বলেন, আর্ন্তজাতিক বাজারে ভোজ্য তেলের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। তেল আমদানীতে প্রচুর বৈদেশিক মূদ্রা ব্যয় করতে হয়। তাই সরকার বৈদেশিক মূদ্রা সাশ্রয়ের জন্য ভোজ্য তেলের আমাদানী কমানোর উদ্যোগ নিয়েছে। তাই তেল জাতীয় ফসলের আবাদ বৃদ্ধিতে কৃষককে বিনামূল্যে প্রণোদনার বীজ-সার প্রদান করেছে। গোপালগঞ্জ জেলার ৫ উপজেলার ৭ হাজার ৪৪০ জন কৃষককে সরকার তেল জাতীয় ফসলের আবাদ বৃদ্ধিতে বিনামূল্যে প্রণোদনার বীজ-সার দিয়েছে। এসব বীজ-সার দিয়ে কৃষক প্রায় সাড়ে ৭ হাজার হেক্টর জমিতে তেল ফসলের আবাদ বৃদ্ধি পাবে। গত ২০২২-২৩ অর্থ বছরে গোপালগঞ্জ জেলায় ৫ হাজার ৭৪৩ হেক্টরে তেল জাতীয় ফসলের আবাদ করেন কৃষক। এখান থেকে ৭ হাজার ৮৩৫ টন তেল জাতীয় ফসল উৎপান করে কৃষক। সে হিসেবে এ বছর গোপালগঞ্জে ২৩৮ হেক্টের জমিতে তেল জাতীয় ফসলের আবাদ বৃদ্ধির লক্ষ্য স্থির করে মোট ৫ হাজার ৯৮১ হেক্টর জমিতে তেল ফসল আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এতে জেলায় এ বছর ১ হাজার ২শ’ টন তেল জাতীয় ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাফরোজা আক্তার বলেন, আমরা কৃষিকে বাণিজিকী করণ করতে চাই। সেই লক্ষ্যে আমরা কৃষককে দিয়ে উচ্ছ মূল্যের ফসল ফলানোর জন্য কাজ করছি। তেল জাতীয় ফসল উচ্চ মূল্যের ফসল। তারা তেল জাতীয় উচ্চ মূল্যের ফসল ফলিয়ে লাভবান হবেন। ২০৪১ সালের মধ্যে আমরা খোরপাশের কৃষিকে বাণিজ্যিক কৃষিকে রূপান্তর করতে পারব। দেশ আরো সমৃদ্ধ হবে।
সূত্র :বাসস
Leave a Reply