বাংলাদেশের প্রায় সব অঞ্চলেই সুস্বাদু ও পুষ্টিকর লালশাক চাষ হয়। একই জমিতে বহুবার লালশাকের চাষ করা যায়, সার কিংবা কীটনাশকের তেমন প্রয়োজন হয় না।
তাই উৎপাদন খরচ নেই বললেই চলে। আর সে কারণেই বাণিজ্যিক ভিত্তিতে লাল শাকের চাষ ও বাজারজাত লাভজনক ব্যবসা।
চাষের সময় : সারা বছরই লাল শাক আবাদ করা যায়। তবে ভাদ্র-পৌষ পর্যন্ত বেশী চাষ হয়।
পুষ্টিগুন : লাল শাকে প্রচুর ভিটামিন এ, বি, সি ও ক্যালসিয়াম পাওয়া যায়।
মাটির প্রকৃতি : প্রায় সব ধরনের মাটিতেই সারাবছর লাল শাক এর চাষ করা হয়। তবে দো-আঁশ ও বেলে দো-আঁশ মাটি লালশাক চাষের জন্য উপযোগী।
কৃষকদের মতে গুণগত ও মানসম্পন্ন ভালো ফলন পেতে হলে লাল শাক চাষের জমিতে যতটুকু সম্ভব জৈব সার প্রয়োগ করতে হবে।
সারের পরিমাণ : সার এক শতকে হেক্টর প্রতি গোবর ৪০ কেজি ১০ টন ইউরিয়া ৫০০ গ্রাম ১২৫ কেজি টিএসপি ৩০০ গ্রাম ৭৫ কেজি এমওপি ৪০০ গ্রাম ১০০ কেজি
ফসল সংগ্রহ : বীজ বোনার ২১ থেকে ২৬ দিনের মধ্যে শাক খাওয়ার উপযুক্ত হয়। একসাথে শাক সংগ্রহ না করে ধীরে ধীরে সংগ্রহ করা ভালো।
বাজার সম্ভাবন : লালশাক সুস্বাদু ও পুষ্টিকর তাই ছোট-বড় সবাই এই শাক খুব পছন্দ করে। যেহেতু এর চাহিদা সবার কাছেই আছে তাই লালশাক চাষ করে পারিবারিক পুষ্টির চাহিদা পূরণ করার পাশাপাশি অতিরিক্ত উৎপাদন বাজারে বিক্রি করে বাড়তি আয় করাও সম্ভব। লালশাক রপ্তানি করার জন্য রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগ করা যেতে পারে।
Leave a Reply