বাংলাদেশে পালং শাক বেশ জনপ্রিয় । বাংলাদেশের সব জায়গায় পালং শাক চাষ করা হয়। ১২ মাস চাষের জন্য পালং শাক অন্যতম। এর ইংরেজি নাম Spinich ও বৈজ্ঞানিক নাম Spinacea olerocea এটা খেতে সুস্বাদু ও পুষ্টিকর। বাংলাদেশে শীতকালে বেশি উৎপাদন করা হয় পালং শাক। আমাদের দেশে পালং শাকের ফলনও খুব ভাল হয়।
পুষ্টিগুনঃ প্রতি ১০০ গ্রাম পালং শাকে প্রোটিন আছে ২.০ গ্রাম, কার্বোহাইড্রেট আছে ২.৮ গ্রাম, আঁশ আছে ০.৭ গ্রাম, আয়রন ১১.২ মি. গ্রাম, ফসফরাস আছে ২০.৩ মি. গ্রাম, অ্যাসিড (নিকোটিনিক) ০.৫ মি. গ্রাম, রিবোফ্লোবিন থাকে .০৮ মি. গ্রাম, অক্সালিক অ্যাসিড থাকে ৬৫২ মি. গ্রাম, ক্যালসিয়াম ৭৩ মি. গ্রাম, পটাশিয়াম ২০৮ মি. গ্রা, ভিটামিন-এ আছে ৯৩০০ আই. ইউ, ভিটামিন সি ২৭ মি. গ্রা, থায়ামিন আছে .০৩ মি. গ্রা। পালংশাকে প্রচুর ভিটামিন ‘এ’ আছে যেটা শিশুদের জন্য বিশেষ উপকারী।
বীজ বপনের সময়ঃ সেপ্টেম্বর থেকে জানুয়ারি মাস বীজ বপনের উপযুক্ত সময়। বীজ বপন করার পর অঙ্কুরোদগম হতে সময় লাগবে প্রায় ৮-১০ দিন।
সারের নাম এবং শতক প্রতি পরিমান
ইউরিয়া⇒ ১ কেজি
গোবর⇒ ৪০ কেজি
এমপি⇒ ৫০০ গ্রাম
টিএসপি⇒ ৫০০ গ্রাম
সার প্রয়োগের নিয়মাবলি:
১ ইউরিয়া ছাড়া সব সার জমির শেষ চাষের সময় প্রয়োগ করতে হয়। তবে গোবর জমি তৈরির প্রথম দিকে প্রয়োগ করাই উত্তম।
২ ইউরিয়া সার চারা গজানোর ৮-১০ দিন পর থেকে ১০-১২ দিন পর পর ২-৩ কিস্তিতে উপরি প্রয়োগ করে মাটির সাথে মিশিয়ে দিতে হবে।
ফসল সংগ্রহঃ বীজ বপন করার এক মাস পর থেকেই পালং শাক সংগ্রহ করা যায় । গাছে ফুল আসার আগ পর্যন্ত শাক সংগ্রহ করা যাবে।
ফলনঃ সঠিক পদ্ধতিতে চাষ করতে পারলে প্রতি আলে ৭-৯ কেজি পালং শাক পাওয়া যেতে পারে। প্রতি শতকে ২৭-৩৬ কেজি এবং প্রতি একরে পাওয়া যাবে ২৭০০-৩৭০০ কেজি।
বাজারজাতকরণঃ আমাদের দেশের অধিকাংশ মানুষ পুষ্টির চাহিদা পূরণের জন্য শাকসবজি ও ফলমূলের উপর নির্ভর করে। তাই বাংলাদেশে সারাবছরই বিভিন্ন ধরণের শাকসবজি চাষ করা হয়। পালং শাক খেতে সুস্বাদু; তাই সবার কাছে এর চাহিদা থাকে। পালং শাক চাষ করে পারিবারিক পুষ্টির চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি বাড়তি আয় করাও সম্ভব। এছাড়া দেশের চাহিদা মেটানোর পর অতিরিক্ত উৎপাদন বিদেশে রপ্তানি করা সম্ভব।
Leave a Reply