1. admin@ritekrishi.com : ritekrishi :
  2. ritekrishi@gmail.com : ritekrishi01 :
সহজে ঢেঁড়স চাষ পদ্ধতি
বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৭:২৮ পূর্বাহ্ন

সহজে ঢেঁড়স চাষ পদ্ধতি

  • আপডেটের সময় : শনিবার, ১৬ মার্চ, ২০২৪
  • ৪৫৩ পড়া হয়েছে

ঢেঁড়স বা ভেন্ডি বাংলাদেশে একটি জনপ্রিয় সবজি। ঢেঁড়শের বৈজ্ঞানিক নাম Abelmoschus esculentus; অথবা Hibiscus esculentus L. ঢেঁড়স শীতকালীন সবজি হলেও বাংলাদেশে বর্তমানে সারা বছর ঢেঁড়স চাষ করা হয়ে থাকে।
এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বি ও সি রয়েছে। এছাড়া পর্যাপ্ত আয়োডিন, ভিটামিন এ এবং বিভিন্ন খনিজ পদার্থ রয়েছে। ফলে ঢেঁড়শ চাষ করলে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে শারীরিক উপকারিতাও রয়েছে

চাষ পদ্ধতি : বীজ বোনার আগে প্রথমে ২৪ ঘন্টা ভিজানো উচিত। গভীরভাবে চাষ করতে হলে মাটিকে চাষের জমি তৈরি করতে হবে, যা চাষ ও মই দিয়ে ঝুরঝুরে করে তৈরি হয়। সারির দুরত্ব হবে ৩০ ইঞ্চি। বীজ সারিতে ১৮ ইঞ্চি দূরে দূরে ২-৩ টি বীজ বোনতে হবে, যা জাত অনুযায়ী পরিবর্তন করতে হবে। চারা থেকে চারা এবং সারি থেকে সারির দুরত্ব কমানো বা বাড়ানো যেতে পারে, যেমন, শীতকালে গাছ ছোট হয়ে যেতে পারে। গজানোর পর প্রতি গর্তে একটি করে সুস্থ সবল চারা রেখে বাকী চারা গর্ত থেকে উঠিয়ে ফেলতে হবে। বীজের পরিমান হলে: জাত ভেদে প্রতি ২০-২৫ কেজি প্রতি শতক।

মাটি ও জলবায়ু : ঢেঁড়স সব মাটিতে চাষাবাদ করা যায়। তবে দো-আঁশ ও বেলে দো-আঁশ মাটিতে ঢেঁড়স ভালো উৎপাদন হয়। এঁটেল মাটিতে চাষ করা যায় যদি পানি নিষ্কাশনের সুবিধা থাকে। প্রচুর পরিমাণে জৈব্সার ব্যবহার করলে বেলে মাটিতেও ঢেঁড়স চাষ করা সম্ভব। ঢেঁড়স শুস্ক ও আর্দ্র আবহাওয়ায় ভালো জন্মে।

চাষের উপযুক্ত সময় : ঢেঁড়শ সারা বছর চাষ করা যায়। তবে গ্রীষ্মকাল চাষের উপযুক্ত সময়। ফাল্গুন-চৈত্র ও আশ্বিন-কার্তিক মাস বীজ বোনার উপযুক্ত সময়।

জাত : শাউনি, পারবনি কানি, বারি ঢেঁড়শ, পুশা সাওয়ানি, পেন্টা গ্রিন, কাবুলি ডোয়ার্ফ, জাপানি প্যাসিফিক গ্রিন চাষ উপযোগী জাত।

বীজ বপনের সময় :ফাল্গুন থেকে বৈশাখ মাসে বীজ বপনের সঠিক সময়।

খরিপ ১ মৌসুম: জানুয়ারির মাঝামাঝি থেকে মার্চ মাসের মাঝামাঝি সময়।
খরিপ ২ মৌসুম: মার্চ মাসের মাঝামাঝি থেকে মে মাসের মাঝামাঝি সময়।
রবি মৌসুম: আগষ্ট মাসের মাঝামাঝি থেকে সেপ্টেম্বর মাসের মাঝামাঝি সময়।
তবে এখন অনেক ভাল বীজ কোম্পানি হাইব্রিড জাত এর বীজ ব্রিক্রি করে যা ১২ মাস চাষাবাদ করা যায়।

সার ব্যবস্থাপনা : প্রতি শতকে গোবর ৭৫ কেজি, সরিষার খৈল ১.৭৫ কেজি, ইউরিয়া ২৩০ গ্রাম, টিএসপি ৩৫০ গ্রাম, এমওপি ২৩০ গ্রাম।

সারের নাম        শতক প্রতি সার

কম্পোস্ট            ৭৫ কেজি

ইউরিয়া               ২৩০ গ্রাম

টিএসপি              ৩৫০ গ্রাম

পটাশ                   ২৩০ গ্রাম

সার প্রয়োগ : জমি তৈরির সময় ইউরিয়া সার বাদে বাকি সব সার মাটির সঙ্গে ভালোভাবে মিশিয়ে দিতে হবে। সার মেশানোর ১০-১৫ দিন পর জমিতে ঢেঁড়শ বীজ বপণ করতে হয়। ইউরিয়া সার সমান দু’ কিস্তিতে উপরি প্রয়োগ করতে হয়। প্রথম কিস্তিতে চারা গজানোর ২০-২৫ দিন পর এবং ২য় কিস্তিতে দিতে হবে চারা গজানোর ৪০-৫০ দিন পর।

পরিচর্যা : মাটির উপরিভাগ মাঝে মাঝে আলগা করে দিতে হবে। জমি সবসময় আগাছা মুক্ত রাখতে হবে। মাটির প্রকারভেদ অনুযায়ী ১০-১২ দিন পরপর সেচ দিতে হবে। প্রতি কিস্তিতে সার প্রয়োগের পর জমিতে সেচ দিতে হবে।

ফসল সংগ্রহ : বীজ বপণের ৬-৮ সপ্তাহের মধ্যে এবং ফুল ফোটার ৩-৫ দিনের মধ্যে ফল আসা শুরু হয়। জাতভেদে ফল ৮-১০ সেন্টিমিটার লম্বা হলেই সংগ্রহ করতে হয়।

সোস্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Error Problem Solved and footer edited { Trust Soft BD }
More News Of This Category
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত - রাইট কৃষি-২০২১-২০২৪
Web Design By Best Web BD