সাদা বকের দিয়ে নীড়ে ফেরা। হড়াই নদীর সূর্যরশ্মির নিবিড় সখ্যতায় ঝলমলে স্নিগ্ধতা। মন মিশে একাকার হয় মাঠ দিয়ে বয়ে যাওয়া হড়াই নদীর পাড়ে। পড়ন্ত বিকেলে ক্লান্তি ভরা মন নিয়ে ছুটে চলা গন্তব্যহীন নদীর পাড়।
রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার বহরপুর ইউনিয়নের আবাসন এলাকার হড়াই নদীকে কেন্দ্র করে তৈরি হয় প্রাণবন্ত বিকেল। বিভিন্ন স্থান থেকে প্রকৃতির কাছে প্রতিদিন আসেন দর্শনার্থীরা।
শ্রেয়ন্তি বিশ্বাস সরকারি রাজেন্দ্র কলেজের হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী। শুক্রবার বিকেলে ফরিদপুর থেকে পরিবার-পরিজন নিয়ে আসছিলেন আবাসন এলাকায়। তিনি বলেন, মামা বাড়িতে আসার কারণে এখানে আসা। হেমন্তের পড়ন্ত বিকেল এখন। সাদা বকের নীড়ে ফিরে যাওয়ার চমৎকার দৃশ্য দেখা যায় এখানে। হড়াই নামের নদীটি বয়ে চলছে সামনের দিকে। অথচ জানা ছিল না হড়াই নামের একটা নদী আছে। নদীর পাড় দিয়ে রাস্তা চলে গেছে বহুদূর। আবাসন এলাকায় আসলে বোঝা যায় গ্রামীণ দৃশ্য। হেমন্তের বিকালে কৃষকের ধান নিয়ে বাড়ি ফেরা সত্যি অসাধারণ।
আরেক দর্শনার্থী সৈকত মাহমুদ বলেন, এখন হেমন্ত কাল। রোমান্টিক একটা ঋতু। মনোরম আকাশ, মাঠে সোনালি ফসল, সাদা বক সবমিলিয়ে সত্যি অসাধারণ। এখানে কেউ বন্ধুর সাথে, কেউ বান্ধবীর সাথে শেষ বিকেলে মায়া জড়ানো অপূর্ব মুহূর্ত উপভোগ করেন। নয়নজুড়ানো অপরূপ সৌন্দর্য সত্যি দারুণ!
স্থানীয়রা বলেন, রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার বহরপুর ইউনিয়ন ও সদর উপজেলার বানিবহ ইউনিয়নের বহরপুর ও বারিগ্রাম এলাকাই মূলতো আবাসন হিসাবে পরিচিত। হড়াই নদীর ওপারে রাজবাড়ী সদর এপারে বালিয়াকান্দি উপজেলা। বর্ষার সময় রাস্তার দুইপাশে বিস্তৃর্ণ জলরাশি থাকে। তখন আলাদা একটা পরিবেশ থাকে। হেমন্তের এই সময় বিভিন্ন স্থান থেকে দর্শনার্থীরা আসেন।
বালিয়াকান্দি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. হাসিবুল হাসান বলেন, আবাসনে গেলে গ্রামীণ পরিবেশ দেখা যায়। দিন দিন সেখানে জেলা ও পার্শ্ববর্তী জেলার মানুষ আসছেন। আমাদের পক্ষ থেকে দর্শনার্থীদের কথা চিন্তা করে বেশ কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
Leave a Reply