1. admin@ritekrishi.com : ritekrishi :
  2. ritekrishi@gmail.com : ritekrishi01 :
গম চাষ পদ্ধতি - Rite Krishi
শুক্রবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১১:৩৭ পূর্বাহ্ন

গম চাষ পদ্ধতি

  • আপডেটের সময় : শনিবার, ২৭ আগস্ট, ২০২২
  • ২৪১ পড়া হয়েছে

আগাছা দমন, উচ্চ ফলনশীল গমের জাত, এক হেক্টর জমিতে কত কেজি গম বীজ বপন করতে হয়, কোন মৌসুমে গম চাষ করা হয়, খাদ্যশস্য, খাদ্যশস্য হিসেবে গমের অবস্থান, গম চাষ পদ্ধতি, গম চাষ পদ্ধতি pdf, গম চাষে সার প্রয়ােগের পরিমাণ, গম বীজ, গম বীজ শোধন, গমের জাত সমূহ, গমের ফলন, গমের ফলন বৃদ্ধি করার উপায়, ফসল সংগ্রহ, বপন সময়, বারি গম ৩৩, বাংলাদেশে কোন ঋতুতে গম চাষ করা হয়, বাংলাদেশে গম উৎপাদন, বাংলাদেশের কোন জেলায় গমের চাষ ভালো হয়, বীজ শােধন, বীজের হার, সার প্রয়ােগ পদ্ধতি

গম চাষ পদ্ধতি
দানা ফসল শর্করার প্রধান উৎস। এ কারণে পৃথিবীর সকল দেশে খাদ্যশস্য হিসেবে দানা ফসল চাষ করা হয়।

বিশ্বের অনেক দেশে গম প্রধান খাদ্যশস্য।

বাংলাদেশে ধানের পরে খাদ্যশস্য হিসেবে গমের অবস্থান দ্বিতীয়। বর্তমানে দেশের প্রায় সব জেলাতেই গমের চাষ করা হয়।

তবে দিনাজপুর, রংপুর, ঠাকুরগাঁও, রাজশাহী, পাবনা, বগুড়া, জামালপুর, যশাের ও কুষ্টিয়া জেলায় বেশি চাষ হয়।

বাংলাদেশে গমের অনেক উচ্চফলনশীল অনুমােদিত জাত রয়েছে।

তন্মধ্যে কাঞ্চন, আকবর, অঘ্রাণী, প্রতিভা, সৌরভ, গৌরব, শতাব্দী, প্রদীপ, বিজয় ইত্যাদি জাত জনপ্রিয়।

বপন সময় : গম শীতকালীন ফসল। বাংলাদেশে শীতকাল স্বল্পস্থায়ী। এ কারণে গমের ভালাে ফলন পেতে হলে সঠিক সময়ে গম বীজ বপন করা উচিত।

আমাদের দেশে নভেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে ডিসেম্বর মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত গম বপনের উপযুক্ত সময়।

উঁচু ও মাঝারি দোঁআশ মাটিতে গম ভালাে জন্মে। তবে লােনা মাটিতে গমের ফলন কম হয়।

যেসব এলাকায় ধান কাটতে ও জমি তৈরি করতে দেরি হয় সেসব এলাকায় কাঞ্চন, আকবর, প্রতিভা, গৌরব চাষ করলে ভালাে ফলন পাওয়া যায় ।

বীজের হার : বীজ গজাননার হার শতকরা ৮৫ ভাগের বেশি হলে ভালাে। এক হেক্টর জমিতে ১২০ কেজি গম বীজ বপন করতে হয়।

বপনের আগে বীজ শােধন করে নিলে বীজবাহিত অনেক রােগ প্রতিরােধ করা যায়।

প্রতি কেজি বীজ ৩ গ্রাম প্রভেক্স ২০০-এর সাথে ভালাে করে মিশিয়ে বীজ শােধন করা যায়।

বপন পদ্ধতি : জমিতে জো এলে ৩-৪টি চাষ ও মই দিয়ে জমি ভালােভাবে তৈরি করতে হবে।

জমিতে পর্যাপ্ত রস না থাকলে সেচ দেওয়ার পর জো এলে চাষ দিতে হবে। সারিতে বা ছিটিয়ে গম বীজ বপন করা যায় ।

ছিটিয়ে বপন করলে শেষ চাষের সময় সার ও বীজ ছিটিয়ে মই দিয়ে বীজ ঢেকে দিতে হয়।

সারিতে বপনের ক্ষেত্রে জমি তৈরির পর ছােট হাত লাঙল দিয়ে ২০ সে.মি. দূরে দূরে সরু নালা তৈরি করতে হয় ।

৪-৫ সে.মি. গভীর নালায় বীজ বপন করে মাটি দিয়ে ঢেকে দিতে হয়। বপনের ১৫ দিন পর পর্যন্ত পাখি তাড়ানাের ব্যবস্থা নিতে হবে।

সার প্রয়ােগ পদ্ধতি
সেচসহ চাষের ক্ষেত্রে মােট ইউরিয়া সারের তিন ভাগের দুই ভাগ এবং সবটুকু টিএসপি,এমওপি ও জিপসাম সার শেষ চাষের সময় দিতে হবে।

বাকি এক ভাগ ইউরিয়া সার প্রথম সেচের সময় উপরি প্রয়ােগ করতে হবে।

সেচ ছাড়া চাষের ক্ষেত্রে পুরাে ইউরিয়া, টিএসপি, এমওপি এবং জিপসাম সার শেষ চাষের সময় জমিতে দিতে হবে।

গম চাষে সার প্রয়ােগের পরিমাণ নিচের তালিকায় দেওয়া হলাে :

পানি সেচ : মাটির বুনটের প্রকার অনুযায়ী গম চাষে ২-৩টি সেচের প্রয়ােজন হয়।

প্রথম সেচ চারার তিন পাতার সময়, দ্বিতীয় সেচ গমের শিষ বের হওয়ার সময় এবং তৃতীয় সেচ দানা গঠনের সময় দিতে হবে।

আগাছা দমন : সার, সেচের পানি ইত্যাদিতে আগাছা ভাগ বসায়। ইউরিয়া সার উপরি প্রয়ােগের আগে নিড়ানি দিতে হবে ।

উপরি প্রয়ােগের পর সেচ দিতে হবে। গম ক্ষেত আগাছামুক্ত রাখার জন্য কমপক্ষে দুইবার নিড়ানি দিতে হবে ।

ফসল সংগ্রহ : গম পাকলে গাছ হলদে হয়ে মরে যায়। তালুতে শিষ নিয়ে ঘষলে দানা বের হয়ে আসবে।

এ অবস্থায় গম কেটে ভালােভাবে শুকিয়ে মাড়াই যন্ত্র দিয়ে মাড়াই করতে হবে।

সোস্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Error Problem Solved and footer edited { Trust Soft BD }
More News Of This Category
Web Design By Best Web BD