আসন্ন রবি মৌসুমে বিভিন্ন রকম খাদ্য উৎপাদন বাড়ানোর লক্ষ্যে সিলেট বিভাগে সরকারের কৃষি প্রণোদনা পাচ্ছেন ৫০ হাজার প্রান্তিক কৃষক। সিলেট বিভাগের সিলেট, সুনামগঞ্জ, হবিগঞ্জ ও মৌলভীবাজার এই চার জেলায় প্রাকৃতিক নানা দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদের সহায়তা এবং আসন্ন রবি মৌসুমে ফসলের উৎপাদন বাড়ানোর লক্ষ্যে ৫০ হাজার প্রান্তিক এবং ক্ষুদ্র কৃষককে এ প্রণোদনা দিচ্ছে সরকার। এই কর্মসূচির আওতায় সরিষা বীজসহ নানা ফসলের বীজ এবং রাসায়নিক সার পাচ্ছেন ওই সকল কৃষক। বিশ্ব ব্যাপি সংকট হতে পারে বিবেচনায় দেশের আগামী সংকট উত্তোরণের জন্য সিলেট বিভাগের ৪ জেলায় এসব কৃষকদের এই প্রণোদনার আওতায় আনা হয়েছে বলে জানিয়েছে কৃষি বিভাগ। কৃষি মন্ত্রণালয়ের নিয়মিত বাজেট কৃষি পুনর্বাসন সহায়তা খাত থেকে এই প্রণোদনা দেওয়া হচ্ছে। এ কর্মসূচির আওতায় কৃষি বিভাগ ইতোমধ্যে কৃষকদের মধ্যে বিনামূল্যে বীজ ও সার বিতরণের কার্যক্রম শুরু করেছে। এতে আসন্ন রবি মৌসুমে বোরো ধানসহ অন্যান্য ফসলের উৎপাদন কৃষকরা নিরবচ্ছিন্নভাবে চাষাবাদ চালিয়ে যেতে পারবেন বলে মনে করছে কৃষি বিভাগ।
সিলেট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, জেলায় ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে রবি মৌসুমে সরিষা, সূর্যমুখী, চিনাবাদাম, সয়াবিন, শীতকালীন পেঁয়াজ, মুগ, মসুর ও খেসারির আবাদ ও উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য এ প্রণোদনার আওতায় বিনা মূল্যে বীজ ও সার পাবেন কৃষকরা। (বিভাগ ওয়ারি ভাগ করে) প্রত্যেক সরিষা চাষিদের ১ কেজি করে সরিষা বীজ, ১০ কেজি করে ডিএপি এবং এমওপি সার দেওয়া হচ্ছে। একজন কৃষক এক বিঘা জমিতে চাষের জন্য প্রয়োজনীয় বীজ ও সার পাবেন।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সিলেট অঞ্চলের উপপরিচালক কাজী মুজিবুর রহমান এতথ্য নিশ্চিত করে জানান, এ বছর সিলেট বিভাগের ৫০ হাজার বিঘা জমিতে ৫০ হাজার কৃষককে ৫০ হাজার কেজি সরিষা বীজ, ৫ লাখ কেজি ডিএপি এবং ৫ লাখ কেজি এমওপি সার মোট ১০ লাখ কেজি সার বিতরণ করা হবে। সরকার চাষিদেরকে খাদ্য উৎপাদনে আরও বেশি করে উৎসাহিত করতেই এই প্রণোদনার ব্যবস্থা করছে। সিলেট কৃষি বিভাগ উৎপাদনের শুরু থেকে উৎপাদিত পণ্য কৃষকের ঘরে পৌঁছা পর্যন্ত মাঠেই থেকে কৃষকদের প্রয়োজনে কাজ করবে বলে তিনি জানান। এছাড়াও এবছর সিলেট বিভাগের বিভিন্ন উপজেলায় বোরো ধান উৎপাদনের জন্য উফশী বোরো ধানের বীজ ও সার সহায়তা এবং কৃষকরা উচ্চ ফলনশীল বোরো হাইব্রিড বীজ সহায়তা পাবেন বলে তিনি জানান।
সূত্রঃ বাসস
Leave a Reply