বাংলাদেশ আজ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতার কথা বলছে। টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য পূরণের কথা বলছে। এই অগ্রযাত্রায় দরকার গ্রামীণ জনজীবনের অর্থনৈতিক উন্নতি, দরকার খাদ্যনিরাপত্তাসহ কৃষকের উন্নতি, কৃষির উন্নতি। এ লক্ষ্য পূরণ করতে পারলে আগামীর অর্থনৈতিক বনিয়াদকে শক্তিশালী রাখা যাবে।
বিষয়টি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শুধু অনুধাবন করেননি, নীতিনির্ধারণীর মাধ্যমে নির্দেশ দিয়েও বসে থাকেননি, তিনি নিজে চ্যালেঞ্জটি নিয়েছেন। একজন সরকারপ্রধান হয়েও কৃষি অনুশীলনে নেমেছেন। মাটি ও ফসলের সংস্পর্শে নিজেকে সম্পৃক্ত রেখেছেন।
চ্যানেল আইয়ের পরিচালক, কৃষি উন্নয়ন ও গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব শাইখ সিরাজকে দেওয়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দীর্ঘ সাক্ষাৎকারে বিষয়টি উঠে এসেছে, যা আগামী শনিবার চ্যানেল আইয়ের ‘হৃদয়ে মাটি ও মানুষ’ অনুষ্ঠানে সম্প্রচার করা হবে।সাক্ষাৎকারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘ছোটবেলায় বাবার (জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান) কাছেই কৃষির হাতেখড়ি। তিনিই আমাদের সব ভাই-বোনকে কৃষি অনুশীলনের সুযোগ করে দিতেন। পরবর্তী সময়ে দেশের রাজনীতির সঙ্গে যখন সরাসরি সম্পৃক্ত হলাম, তখনো গ্রামের হতদরিদ্র মানুষ নিয়ে কাজ করেছি, দেখেছি তাদের দুঃখ-দুর্দশা।
আমাদের দেশের অর্থনীতির ভীতই তো কৃষির ওপরে। অন্যদিকে জনসংখ্যাও বেশি। সেটা বিচার করে কৃষির ওপর জোর দিতেই হয় সব সময়।’ প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের জমি এত উর্বর, একটু চেষ্টা করলেই আমরা আমাদের উৎপাদন আরও বাড়াতে পারি।’
প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎকার ও ভিডিও চিত্র ধারণ সম্পর্কে শাইখ সিরাজ বলেন, প্রধানমন্ত্রী গণভবনে বহুমুখী কৃষি উৎপাদনের যে দৃষ্টান্ত গড়েছেন, তা দেশের মানুষের জন্য শিক্ষণীয়। তাঁকে দেখে দেশের মানুষ আরও অনেক বেশি উৎসাহিত হবেন কৃষিতে। তিনি আরও বলেন, ‘এ বছর সাংবাদিকতায় আমার চার দশক পূর্ণ হলো। “হৃদয়ে মাটি ও মানুষ” এবার দুই দশকে পদার্পণ করছে। এমন সময়ে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন গণভবনের কৃষিক্ষেত্রটি জনমানুষের সামনে তুলে ধরতে পেরে সত্যিই আমি আনন্দিত।
সূত্র : প্রথম আলো
Leave a Reply