স্নাতক ও স্নাতকোত্তর—দুই বিভাগেই স্বর্ণপদকের জন্য মনোনীত হয়ে আমি ভীষণ খুশি। স্নাতক পর্যায়ে প্রথম শ্রেণিতে তৃতীয় হওয়ায় ২০১৯ সালে কৃষি অনুষদ থেকে ডিনস অ্যাওয়ার্ডও পেয়েছিলাম।
স্নাতকে কোনো দিন ক্লাস মিস করিনি। সব সময় সামনের সারিতে বসতাম। নিয়মিত ক্লাস, ক্লাসের পড়া ক্লাসেই বুঝে মাথায় ধরে রাখা, নতুন কিছু শেখা ও জানার ইচ্ছা, প্রাত্যহিক জীবনে কৃষিশিক্ষার অর্জিত জ্ঞান মিলিয়ে দেখা ও প্রয়োগ—এসব চর্চাই হয়তো আমাকে এগিয়ে রেখেছে।
স্নাতক শেষ করে মৃত্তিকাবিজ্ঞান বিভাগে মাস্টার্সে ভর্তি হই। এ সময় নিয়মিত ক্লাস, গবেষণায় সময় দেওয়া, বিভিন্ন গবেষণা প্রকল্পে সম্পৃক্ততা, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সেমিনার ও ওয়ার্কশপে নিয়মিত অংশগ্রহণ মাস্টার্সে প্রথম শ্রেণিতে প্রথম হওয়ার পেছনে যথেষ্ট ভূমিকা রেখেছে। মা-বাবা, বন্ধু, সহপাঠী, শিক্ষক—সবাই সব সময় অনুপ্রাণিত করেছেন। তাঁদের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ।
ক্যাম্পাসে একটা দীর্ঘ সময় কেটেছে ঈশা খাঁ হলে। হলের বিভিন্ন খেলাধুলায় অংশ নিয়েছি। বন্ধুদের সঙ্গে খাওয়া, ঘোরাঘুরি—এসবই শরীর-মনের স্বাস্থ্য রক্ষায় সহায়তা করেছে। মাস্টার্স শেষে মৃত্তিকাবিজ্ঞান বিভাগে প্রভাষক হিসেবে যোগ দিই। এখন সহকারী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত। বর্তমানে পরিবেশবান্ধব স্মার্ট কৃষি, ডিজিটাল ব্লক ম্যাপিং, নাইট্রোজেন সারের সক্ষমতা বৃদ্ধি, অন-সাইট সার পরামর্শ সহায়িকাবিষয়ক অ্যাপ নিয়ে কাজ করছি। আমি আমার দক্ষতা ও গবেষণার মাধ্যমে স্মার্ট সেচব্যবস্থা, সার ব্যবস্থাপনা ও বিভিন্ন দুর্যোগে কৃষকদের করণীয়বিষয়ক অ্যাপ তৈরি করে স্মার্ট বাংলাদেশ নির্মাণে অবদান রাখতে চাই।
সূত্র :প্রথম আলো
Leave a Reply