সবুজঘেরা সুশোভিত ক্যাম্পাসে যে একবার এসেছে, সে-ই বুঝবে এই প্রাঙ্গণ কত সহজে মায়ায় জড়িয়ে ফেলে। শুরুতে যদিও বুঝতে পারিনি, ক্যাম্পাস হবে স্বপ্নপূরণের চারণভূমি। ভাবিনি, ক্যাম্পাসের বুক চিরে বয়ে যাওয়া ব্রহ্মপুত্রের স্রোতের মতো সময়ও এত দ্রুত বয়ে যাবে।
লেখা পড়ে মনে হতে পারে আমি হয়তো ক্লাসরুম ফেলে বাকৃবির সবুজের মধ্যেই সময় কাটিয়েছি বেশি। আসলে তা নয়। ক্লাসও আমাকে সমানভাবেই টানত। মন দিয়ে ক্লাস করতাম। কিন্তু স্নাতক ও স্নাতকোত্তর—দুটির ফলের জন্যই স্বর্ণপদক পেয়ে যাব, ভাবতে পারিনি। সৃষ্টিকর্তা সহায় ছিলেন। পাশাপাশি সাহস ও অনুপ্রেরণা জুগিয়েছেন মা-বাবা। এখন যুক্তরাষ্ট্রের নর্থ ডাকোটা স্টেট ইউনিভার্সিটিতে পিএইচডি গবেষণা করছি। সমাবর্তনে অংশ নিতেই দেশে এসেছি। পড়ালেখা শেষে স্মার্ট বাংলাদেশ নির্মাণের লক্ষ্যে স্মার্ট কৃষি প্রযুক্তি ব্যবহারের জন্য কাজ করতে চাই। এত দিন পর সমাবর্তনের মাধ্যমে আমার কষ্টের স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য আমি আনন্দিত ও কৃতজ্ঞ।
সূত্র : প্রথম আলো
Leave a Reply