পরিবেশ আইন অমান্য করে রাতে কৃষিজমির মাটি লুট বন্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে আটজনকে কারাদণ্ড দিয়েছে গাজীপুর জেলা প্রশাসন। এ সময় মাটি কাটার কাজে ব্যবহৃত একটি এক্সকাভেটর ও পাঁচটি ড্রাম ট্রাক জব্দ করা হয়েছে। গতকাল সোমবার মধ্যরাতে এই ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়।
অভিযান পরিচালনা করেন গাজীপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দ মুরাদ আলী, সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রাফে মোহাম্মদ।
দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা হলেন মো. ছাইদ, দোলোয়ার হোসেন, মো. জাহাঙ্গীর, ইব্রাহিম মিয়া, শহিদুল ইসলাম, গোলাম রাব্বি, মো. শাহিদ ও রায়হান। তাঁদের মধ্যে ছয়জন ড্রাম ট্রাকের চালক এবং দুজন চালকের সহযোগী।
ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা যায়, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের বাইমাইল এলাকায় অনেক দিন ধরে অসাধু ব্যবসায়ীরা অধিক মুনাফার লোভে রাতে ফসলি জমি থেকে গভীর করে মাটি কেটে ইটভাটায় বিক্রি করে আসছিলেন। এ নিয়ে গতকাল ‘রাতের অন্ধকারে কৃষিজমির মাটি লুট’ শিরোনামে প্রথম আলোয় একটি সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
বিষয়টি নজরে এলে গাজীপুরের জেলা প্রশাসক আনিসুর রহমানের নির্দেশে গতকাল রাত ১১টায় গাজীপুরের বাইমাইল এলাকায় অভিযান চালানো হয়। অভিযানের খবর পেয়ে মাটি কাটায় জড়িত অনেকেই দৌড়ে পালিয়ে যান। তবে পুলিশ ১২ জনকে ঘটনাস্থল থেকে আটক করে। পরে তাৎক্ষণিক ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক ড্রাম ট্রাকের ৬ জন চালককে ১৫ দিন এবং চালকের ২ সহকারীকে ৭ দিন করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন। সেই সঙ্গে পাঁচটি ড্রাম ট্রাক ও একটি এক্সকাভেটর জব্দ করা হয়েছে।
গাজীপুর সদরের ইউএনও ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দ মুরাদ আলী বলেন, যথাযথ কারণ ছাড়া কোনো অবস্থাতেই কৃষিজমির মাটি কেটে পরিবেশ নষ্ট করা যাবে না। মাটি কাটার খবর পাওয়া গেলে তাৎক্ষণিক অভিযান চালানো হবে। সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সূত্র : প্রথম আলো
Leave a Reply