মাসকলাই উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে জেলায় ৭৫০ কৃষক ও কৃষাণী পচ্ছেন প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় বীজ ও সার।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের গোপালগঞ্জ খামারবাড়ির উপ-পরিচালক আ. কাদের সরদার এ তথ্য জানিয়েছেন।
ওই কর্মকর্তা বাসসকে বলেন, খরিপ-২ মৌসুমে মাসকলাই উৎপাদ বৃদ্ধির লক্ষ্যে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলায় ১৮০ জন কৃষক, মুকসুদপুর উপজেলায় ১৫৫ জন কৃষক, কাশিয়ানী উপজেলায় ১৫০ জন কৃষক, কোটালীপাড়া উপজেলায় ১৩৫ জন কৃষক ও টুঙ্গিপাড়া উপজেলায় ১৩০ জন কৃষক প্রণোদনার বীজ-সার পাচ্ছেন।
প্রত্যেক কৃষককে ৫ কেজি করে মাসকলাই বীজ, ৫ কেজি এমওপি এবং ১০ কেজি ডিএপি সার বিনামূল্যে দেওয়া হবে।
সেই হিসাবে ৩ হাজার ৭৫০ কেজি মাসকলাই বীজ, ৩ হাজার ৭৫০ কেজি এমওপি সার ও ৭ হাজার ৫০০ কেজি ডিএপি সার বরাদ্দ পাওয়া গেছে। এসব সার বীজ বিতরণের জন্য উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাদের প্রয়োজনীয় নিদের্শনা দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে প্রণোদনার এসব বীজ-সার বিতরণ শুরু হয়েছে। দ্রুত আমরা সব উপজেলায় এসব বীজ-সার বিতরণ সম্পন্ন করব।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাফরোজা আক্তার বলেন, মাসকলাই উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলায় ১৮০ জন কৃষক ও কৃষাণীর মধ্যে প্রণোদনার বীজ-সার গত ১৭ সেপ্টেম্বর বিতরণ করা হয়েছে। প্রত্যেক কৃষককে ৫ কেজি করে মাস কলাই বীজ, ৫ কেজি এমওপি এবং ১০ কেজি ডিএপি সার বিনামূল্যে দেওয়া হয়েছে। ইতমধ্যে ১৮০ জন কৃষকের মধ্যে ৯০০ কেজি মাসকলাই বীজ, ৯০০ কেজি এমওপি সার ও ১ হাজার ৮০০ কেজি ডিএপি সার বিতরণ সম্পন্ন হয়েছে।
এসব সার বীজ দিয়ে কৃষক ১৮০ বিঘা জমিতে মাসকলাই চাষাবাদ করবেন। এতে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা মাসকলাইয়ের উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে।
গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার চন্দ্র দীঘলিয়া গ্রামের কৃষক মোহাম্মদ আলী ভূইয়া বলেন, প্রণোদনার ৫ কেজি মাস কলাই বীজ, ৫ কেজি এমওপি এবং ১০ কেজি ডিএপি সার পেয়েছি। এ বীজ-সার দিয়ে ১ বিঘা জমিতে মাস কলাই চাষাবাদ করব। ইতমধ্যে জমি প্রস্তুত করেছি। দু’-চার দিনের মধ্যে ক্ষেতে মাসকলাই বীজ ফেলব।
সূত্র :বাসস
Leave a Reply