জেলার দেবীগঞ্জে শুরু হয়েছে সুপার ফুড হিসেবে খ্যাত চিয়া সিড।এ বছর কৃষি অফিসের পরামর্শে একজন কৃষক পরীক্ষামূলকভাবে চিয়ার চাষ করেন। কম খরচে ভালো ফলন ও দাম ভালো পাওয়ার আশা করছেন ।
স্থানীয় পর্যায়ে, দেশের বিভিন্ন শপ ও অনলাইনে প্রতি কেজি চিয়া সিড ৮০০ থেকে ১২০০ টাকায় বিক্রি করেছেন।
আমদানি নির্ভর এ বিদেশি ফসলের দেশীয় চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে রপ্তানি করা সম্ভব বলে মনে করছেন কৃষকরা। দেবীগঞ্জ উপজেলায় এ প্রথম চিয়া সীড চাষ হচ্ছে অনেকেই এ বিদেশি ফসল চিনেই না।তাই কৃষি অফিসে গিয়ে প্রশ্ন করছে। এ ফসলে লাভ কেমন ভালো লাভ হলে আগামী বছর দেবীগঞ্জ উপজেলায় অনেক কৃষক চাষ করবে বলে জানান দেবীগঞ্জ কৃষি অফিস।
জানা গেছে, উপজেলার সুন্দরদিঘী ইউনিয়নের শীবের হাট গ্রামের রফিকুল ইসলাম পরীক্ষামূলকভাবে চিয়া ১৭শতাংশ জমিতে চিয়া সিডের চাষ করছেন। প্রতি বিঘা জমিতে ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা খরচ হয়। প্রতি বিঘা জমি থেকে ১২০-১৩০ কেজি চিয়া সিড উৎপাদন হয়।
কৃষক রফিকুল ইসলাম বলেন,এ বছর ১৭ শতক জমিতে চিয়ার পরীক্ষামূলক চাষ করেছি। খুব ভালো ফলন হয়েছে । এ বছর যদি দাম ভালো পাওয়া যায় তাহলে আগামী বছর বাণিজ্যিক ভাবে চিয়া সীড চাষ করব। আমার চাষাবাদ দেখে অনেক কৃষক চিয়া সীড চাষ করতে আগ্রহী হচ্ছে। চাষাবাদ আরও বাড়বে। তিনি আরও বলেন, ‘বিদেশ থেকে যেন চিয়া সিড আমদানি করতে না হয়। দেশেই এর চাষাবাদ শুরু হক। কারও যদি বীজ লাগে আমি সরবরাহ করবো। আমি চাই কৃষকরা চিয়া চাষ করে লাভবান হোক। যারা চিয়া খাবে তাদেরও পুষ্টি চাহিদা পূরণ হোক। নভেম্বরের মাঝামাঝি বীজ রোপণ করতে হয় আর ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি সময় চিয়া সীড কাটা যায়।চিয়া সীড এর বয়স কাল হল ১শ থেকে ১০৫ দিন।এ ফসলে তেমন কোন রোগ বালাই নাই একবার বালাই নাশক আর একবার ছত্রাক নাশক স্প্রে করলেই চলে।
সুন্দরদিঘী ইউনিয়নের শীবের হাট দাড়ার পার ব্লগের উপ-সহকারী কৃষি অফিসার শেফালী বেগম বলেন,আমি কৃষক রফিকুল ইসলামকে উদ্বুদ্ধ করেছি চিয়া সীড চাষ করার জন্য। তিনি আমার কথা শুনে ১৭ শতক জমিতে এবছর প্রথম চাষ শুরু করেছে।তার চিয়া সীড খুব ভালো হয়েছে অন্যান্য ফসলের চেয়ে চিয়া সীড চাষে অনেক খরচ কম। তাই আশে পাশের অনেক কৃষক আমার সাথে যোগাযোগ করছে তারা আগামী বছর বাণিজ্যি ক ভাবে চিয়া সীড চাষ করার জন্য।
দেবীগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. নাঈম মোর্শেদ বলেন, প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকায় চিয়া সিড রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে আরও শক্তিশালী করে।চিয়া সিড পুষ্টিকর খাবার। এতে আছে দুধের চেয়ে ৫ গুণ বেশি ক্যালসিয়াম, কমলার চেয়ে ৭ গুণ বেশি ভিটামিন সি, পালং শাকের চেয়ে ৩ গুণ বেশি আয়রন, কলার চেয়ে দ্বিগুণ পটাশিয়াম, মুরগির ডিম থেকে ৩ গুণ বেশি প্রোটিন, স্যামন মাছের চেয়ে ৮ গুণ বেশি ওমেগা-৩।এটি রক্তে চিনির প্রবাহ স্বাভাবিক রাখে বলে ডায়বেটিসের ঝুঁকি কমে।
সূত্র :বাসস
Leave a Reply