1. admin@ritekrishi.com : ritekrishi :
  2. ritekrishi@gmail.com : ritekrishi01 :
সাতক্ষীরার বাজারে চাহিদা বাড়ছে পানিফলের
রবিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০২:২৩ পূর্বাহ্ন

সাতক্ষীরার বাজারে চাহিদা বাড়ছে পানিফলের

  • আপডেটের সময় : বুধবার, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
  • ১৩৩ পড়া হয়েছে

জেলার বাজারগুলোতে উঠতে শুরু করেছে পানিফল। আগাম চাষ করা ফল বিক্রি করে লাভের আশা করছেন চাষিরা। অন্য ফলের পাশাপাশি পানিফল বাজার দখল করতে শুরু করায় চাহিদাও বাড়ছে। ফলটি সবার পছন্দের, সুস্বাদু ও পুষ্টিকর।

স্থানীয় কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, জেলায় পানিফলের বাণিজ্যিক চাষ শুরু হয়েছে এক দশক আগে। পানিফল জলজ উদ্ভিদ। জলাশয় ও বিল-ঝিলে ফলটি জন্মে। পানিফলের একেকটি গাছ প্রায় ৫ মিটার পর্যন্ত লম্বা হতে পারে। স্থানীয়দের কাছে পানিফলের আরেক নাম ‘পানি শিঙাড়া’।

ফল চাষিরা জানান, পানিফল চাষ শুরু হয় ভাদ্র-আশ্বিন মাসে। ফল সংগ্রহ করা হয় অগ্রহায়ণ-পৌষ মাসে। পানিফল কচি অবস্থায় লাল, পরে সবুজ এবং পরিপক্ব হলে কালো রং ধারণ করে। ফলটির পুরু নরম খোসা ছাড়ালেই পাওয়া যায় হৃৎপিণ্ডাকার বা ত্রিভুজাকৃতির নরম সাদা শাঁস। কাঁচা ফলের নরম শাঁস খেতে বেশ সুস্বাদু। পানিফল কাঁচা খাওয়া হয়, তবে সেদ্ধ করেও খাওয়া যায়।

সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলার সখিপুর গ্রামের আব্দুল গফ্ফার বলেন, ‘কয়েক বছর ধরে পানিফল চাষ করছি। প্রথমে মানুষের মাঝে তেমন সাড়া পাওয়া না গেলেও দিন দিন চাহিদা বাড়ছে। এলাকার কয়েক হাজার বিঘা জলাভূমিতে পানিফল চাষ হচ্ছে। স্থানীয় বাজার ছাড়াও দেশের বিভিন্ন এলাকার পাইকাররা ফল কিনে নিয়ে যাচ্ছেন।’

পানিফল চাষি শহিদুল ইসলাম জানান, এ বছর তিনি ৫ বিঘা জমি লিজ নিয়ে পানিফলের চাষ শুরু করেছেন। শুরুতেই এই চাষ লাভের আশা দেখিয়েছেন তাকে। তিনি আগামী বছর আরও বেশি জমি নিয়ে চাষ করবেন বলেও জানান।

আরেক চাষি শামছুর রহমান বলেন, ‘১০ বছরের বেশি সময় ধরে পানিফল চাষ করে আসছি। এ বছর ১০ বিঘা জমিতে চাষ করেছি। বিঘাপ্রতি ১৫-২০ মণ ফলন পাচ্ছি। শুরুতেই প্রতি কেজি ৪০ টাকা দরে পাইকারি বিক্রি করে লাভবান হচ্ছি। এই জমিতে দেশি প্রজাতির মাছ চাষ করা হচ্ছে। মাছ বিক্রি করেও বাড়তি আয় হয়।’

সখিপুর মোড়ের খুচরা পানিফল বিক্রেতা আব্দুল গফুর জানান, বর্তমানে তিনি ৪০ টাকা কেজিতে কিনে ৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি করছেন। এতে তিনি কেজিতে ১০ টাকা হারে লাভ করে দিনে ৫০০-৭০০ টাকা উপার্জন করছেন।’

সখিপুর মহিলা কলেজ এলাকার ইমরান হোসেন জানান, প্রতিদিন সকালে চাষিদের কাছ থেকে পানিফল সংগ্রহ করে সারাদিন তা বিক্রি করেন। এই ব্যবসা করে তিনি সংসারের চাহিদা মেটাচ্ছেন। এলাকায় এই কাজে অনেক মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে।

পাইকারি পানিফল ব্যবসায়ী রবিউল ইসলাম জানান, চাষের মৌসুম আসার আগে তিনি অর্ধশতাধিক চাষির মাঝে অর্থ বিনিয়োগ করেন। পরে ফলন আসার পর বাজারদর অনুযায়ী উৎপাদিত ফসল কেনেন। এভাবে ১০-১২ বছরের বেশি সময় তিনি পানিফল ব্যবসায় নিয়োজিত আছেন। প্রতিদিন তিনি ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, বরগুনা, চট্টগ্রাম, সিলেট, রাজশাহী, বেনাপোল, যশোর, নাটোর, বগুড়া, দর্শনা, চুয়াডাঙ্গা, মাগুরাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় এ ফল সরবরাহ করেন। বর্তমান জেলার বাইরে বাজারভেদে পাইকারি বিক্রি করেন।

উপ-সহকারী কৃষি অফিসার মো. ইউনুস আলী জানান, এ বছর দেবহাটায় আনুমানিক ৫০ হেক্টর জমিতে পানিফল চাষাবাদ করা হচ্ছে। প্রতি বিঘায় ১৫-২০ মণ ফলন পেয়ে ২০-২৫ হাজার টাকা লাভ হবে কৃষকের।

উপজেলা কৃষি অফিসার শওকত ওসমান জানান, পানিফল কৃৃষিখাতের চাষ হিসেবে ধরা না হলেও দ্রুত চাষের খাতে আনা হতে পারে। অন্য বছরের তুলনায় আবাদ বেড়েছে। চাষিদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও সহযোগিতা করা হচ্ছে। ফলটি চাষাবাদে খরচ কম ও অল্প পরিশ্রমে বেশ লাভবান হওয়ায় প্রতি বছর আগ্রহ বাড়ছে পানিফল চাষিদের।

সোস্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Error Problem Solved and footer edited { Trust Soft BD }
More News Of This Category
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত - রাইট কৃষি-২০২১-২০২৪
Web Design By Best Web BD