জয়পুরহাটে রোপা আমন ধান কাটা ও মাড়াইয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা। প্রতি বছর লাভের আশায় ব্যাপক পরিমাণ জমিতে রোপা আমন ধান চাষ করেন কৃষকরা। বর্তমানে জেলার বিভিন্ন মাঠে চলছে আগাম জাতের ধান কাটার উৎসব। কৃষকরা স্বপ্নের ফসল ঘরে তুলতে তোড়জোড় শুরু করেছেন। এবার কিছু জাতের ধানের ফলন ভালো হলেও বৃষ্টির কারণে ধানি গোল্ড ও ১৭ জাতের ধানে দেখা দিয়েছে পচন রোগ। এসব ধানের ফলন যেমন কম হচ্ছে, তেমনই হাটবাজারে কাঙ্ক্ষিত দাম পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ কৃষকদের। জেলায় এবার প্রায় ৭০ হাজার হেক্টর জমিতে আমন ধানের চাষ হয়েছে। এর মধ্যে আগাম জাতের ধান রয়েছে প্রায় ২১ হাজার হেক্টর। ইতোমধ্যে প্রায় ৫ হাজার হেক্টর জমির আগাম ধান কাটা শেষ হয়েছে। এবার বিঘাপ্রতি জমিতে কৃষকের খরচ হয়েছে ১২ থেকে ১৪ হাজার টাকা। ফলন হচ্ছে ১২ থেকে ১৫ মণ করে। এতে করে কাঙ্ক্ষিত লাভ পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ কৃষকদের।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপপরিচালক (উদ্যান) সাদিয়া সুলতানা বলেন, ‘জয়পুরহাটে চলতি মৌসুমে ৬৯ হাজার ৮৭০ হেক্টর জমিতে রোপা আমন ধানের চাষ হয়েছে। এ থেকে চাল উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ২ লাখ ২৯ হাজার ৬৪২ মেট্রিক টন। আগাম জাতের ধান রয়েছে প্রায় ২১ হাজার হেক্টর। ইতোমধ্যে প্রায় ৫ হাজার হেক্টর জমির ধান কাটা শেষ হয়েছে। আমরা কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে ধান চাষে কৃষকদের বিভিন্ন পরামর্শ ও প্রশিক্ষণসহ অন্যান্য সহযোগিতা অব্যাহত রেখেছি।’ সোটাহার ধারকী গ্রামের কৃষক তোতা মিয়া বলেন, ‘আমি ৬ বিঘা জমিতে ধানি গোল্ড ধান চাষ করেছি। কিন্তু এবার বৃষ্টির কারণে ধান নষ্ট হয়ে গেছে। এতে বিঘাপ্রতি ১২ থেকে ১৪ মণ ফলন হচ্ছে। অনেকের আবার ১০ মণ ফলনও হচ্ছে। এখন হিসাব করে দেখা যাচ্ছে প্রতি বিঘাতে ধান বিক্রি হচ্ছে ১২ থেকে ১৪ হাজার টাকা।’ সিএন্ডবি চারমাথার আইনুল হক বলেন, ‘আমাদের এলাকায় আগাম জাতের সতেরো, পঁচাত্তর ও ধানি গোল্ড ধানের চাষ হয়েছে। আবহাওয়ার কারণে সতেরো ও ধানি গোল্ড ধানের অবস্থা খুবই খারাপ। ধানে পচন রোগ ধরায় ফলন ১৮-২০ মণের জায়গায় ১২-১৪ মণ ফলন হচ্ছে।’
Leave a Reply